ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন কর্নেল শহীদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিকেলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বিষয়টি জানান।
মামলার আসামিরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খান এবং তার দুই মেয়ে শেওতাজ মুনাসী খান ও বারিশা পিনাজ খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এর আগে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। তবে শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দুদকের দাখিল করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৮তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে, ২০২০ সালে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহীদ উদ্দীন খানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন। তখন থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
এসএম/কেএসআর/জেআইএম