বিনোদন ডেস্ক :
নাটকের দল ‘স্পেস এ্যান্ড এ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টার’ হাজির হচ্ছে তাদের নিয়মিত প্রযোজনা ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নিয়ে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে এর ৪৯, ৫০, ৫১ ও ৫২ তম প্রযোজনার (পেন্ডামিক ভার্সন) চারটি শো আগামী ১৮ ও ১৯ জুন মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।
এর নির্দেশনা দিয়েছেন অভিনেতা ও নির্দেশক আশীষ খন্দকার। নাটকটি শুরু হবে প্রথম শো সন্ধ্যা ৭টায়, দ্বিতীয় শো রাত ৮টায়।
নাটকটির সৃষ্টির গল্প জানিয়ে নির্দেশক আশীষ খন্দকার বলেন, ‘একদিন আমি আমার মেয়ে মৃন্ময়ীর সাথে বসে ছিলাম। সে তেল রং-এ একটা ছবি আঁকছিল, দু’টো লোক অন্ধকারে হেঁটে চলেছে। সেখান থেকেই এই নাটকটির বীজ আমার মাথায় আসে। অনেকটা সময় গবেষণার পর ঐ ছোট্ট একটা বীজ থেকে ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের পটভূমি দাঁড় করিয়েছি।
ওইদিন আমি অবাক হয়ে মৃন্ময়ীর ব্যাখ্যাটা শুনছিলাম, ও রূপকথার গল্প থেকে এই চরিত্রদুটো এঁকেছে আর অদ্ভুদ্ভাবে এই গল্প প্রাচ্য-পাশ্চাত্যে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকা চিরাচরিত রূপকথার গল্প। যে গল্পটা আবার ঘুরিয়ে দেখলে আমরা দেখতে পাই, আমাদের এই ঘুনে ধরা, পঁচাগলা বাস্তবতা।
এ নাটকের ২টা ভার্সন এনভারনমেন্টাল এবং স্টুডিও। স্টুডিও ভার্সনের এই পর্বে সংযোজিত পেন্ডামিক সময়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ টেক্স। যা বারবার মনে করিয়ে দেবে শতাব্দি ধরে চলে আসা চিরায়ত প্রাকৃতিক এক ব্যাধি যা ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তাপ, যেখানে মানব সভ্যতা বার বার হেরে গেছে। সমকালীন সময়ের নিরিখে দ্রুত সভ্যতার বিকাশ, প্রযুক্তির বিন্যাস, চিকিৎসা শাস্ত্র কোন সমাধান দিতে পারছে না।
প্রাকৃতিক সৃষ্টিকর্তার উপরেই নির্ভর করছে এর সমাধান। বস্তু, প্রাণি, বাতাসের বিক্রিয়া, প্রজননে যৌনতার উন্মাদনা, হারিয়ে যাওয়া চাবি, সম্পর্কের টান-পোড়েন সমকালীন জীবনে যে রকম প্রভাব ফেলেছে সেখানে মানুষের আর বিকাশের রাস্তা নেই। কোনোদিক দিয়ে এগুচ্ছে না কোনো কিছু। লকডাউনে স্বপ্নবাজ মানুষ তার আবিষ্কৃত ঘড়িটাকে ভুলে গেছে, দেহঘড়ি অচল হয়ে পড়েছে। সে একা হয়ে পড়েছে। জীবন্ত অথবা মৃত সে এখন একক শক্তি। সে একাই আপন শহরে সব ছেড়ে সকল সম্পর্কের ইতি টেনে হাঁটতে থাকে আর বলতে থাকে চোতপুরের সীমানা পেরিয়ে ‘আমাকে কবর দিও হাঁটু ভাঙ্গার বাঁকে।’
এ নাটকে অভিনয় করেছেন জ্যৈষ্ঠ ভ্রাত চরিত্রে ফরহাদ শাওন, কনিষ্ঠ ভ্রাত তোতো তীমথিয়, বান্দ্রা মানিসা অর্চি, মামুলি ইনসান চরিত্রে ওমর ফারুক।
নাটকের কন্সেপ্ট প্রেরণা (স্কেচ) মৃণ্ময়ী আশীষ, মিউজিক জাহিদ মাহমুদ, তানভীর নাহিদ, আলো পরিকল্পনা আলী আফসার জুম্মান ও শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন সংগীতা বাড়ৈ।
নাটকটি দেখতে অনলাইনেও টিকিট বুকিং দেয়া যাবে forms.gle এই ঠিকানায়।
এলএ/জিকেএস