ইবি প্রতিনিধি : বই বিতরণ, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জায়নামাজ, তসবিহসহ নানা উপহার সামগ্রী নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বই বিতরণ করেন। পাশাপাশি তিনি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন, সেখানে শিক্ষার্থীদেরকে তাৎক্ষণিক পুরষ্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক বিভিন্ন বই উপহার দিয়ে থাকেন। সেইসাথে গল্প, উপন্যাস ও নানা জাতের বই বিতরণ করেন তিনি।
প্রকৌশলী টুটুলের প্রতিষ্ঠান গ্রীণ চাইল্ড এন্ড গ্রীণ আর্কিটেক্ট এর উদ্যোগে গত ৬ এপ্রিল পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে জায়নামাজ, তসবিহ এবং ইসলামিক বই বিতরণ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ইঞ্জিনিয়ার টুটুল জানান, পবিত্র মাসে সবার হাতে জায়নামাজ তসবিহ তুলে দিতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশো জায়নামাজ ও পনেরো তসবিহ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে রিনি নামের একজন শিক্ষার্থী জানান, উপহারটা অনেক ভাল ছিল। ইশা নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, রমজান মাসে এতো সুন্দর উপহার পেয়ে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি।
এদিকে এর আগে, গত ২৮ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে একশো “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” এবং “কারাগারের রোজনামচা” বই তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও দেয়া হয় বিভিন্ন গাছের চারা। এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী টুটুলের অধীনে অব্যাহত রয়েছে বছরব্যাপি নানা কর্মসূচি। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই এবং প্রায় দশ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, আমার পরিকল্পনা হচ্ছে ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কুইজের মাধ্যমে দেশ-বিদেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়া। এছাড়া বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আরো উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য এই কুইজের আয়োজন এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বই প্রদান করে থাকি। অযথা সময় নষ্ট না করে, তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আবাসিক হলগুলোতে ছেলে-মেয়েদেরদের নামাজ পড়ার স্থানে পর্যাপ্ত জায়নামাজ না থাকায় তাদের নামাজ পড়তে কষ্ট হয়। এজন্য আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, এক-দুই হাজার জায়নামাজ দেবো। ইতিমধ্যে আমি সাড়ে তিনশো জায়নামাজ বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে আমি বাকি জায়নামাজ বিতরণ করব। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন ছাত্রকে বঙ্গবন্ধুর ১০০ টি আত্মজীবনী উপহার দিয়েছি। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী থাকে তারা যাতে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ থাকে এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য। আমার একটাই উদ্দেশ্য আমি ভালো কাজ করতে চাই এবং সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই।