ডেস্ক রিপোর্ট :
আর মাত্র ১৬-১৭ দিন পরেই মুসলিমদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে এখনো ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততা শুরু হয়নি রাজধানীর মিরপুরের বেনারসি পল্লিতে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর বেনারসি পল্লি ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ক্রেতাশূন্য বেশিরভাগ দোকান। দু’একটায় ক্রেতার দেখা মিললেও নেই আশানুরূপ বেচাকেনা। রমজানের ১৩ দিন পার হলেও আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা বেনারসি কুটিরের দোকানি খলিলুর রহমান বেঙ্গল প্রেস’কেকে বলেন, বেচাকেনা খুব খারাপ। ২৫ বছরের ইতিহাসে এমন খারাপ বেচাকেনা দেখিনি। দুই-একজন ক্রেতা আসলেও আশানুরূপ দাম পাচ্ছি না।
হাজী হারুন সিল্ক হাউজের সিরাজুল হক বলেন, আজ কিছু ক্রেতা আছে। গত কয়েকদিন ছিল না বললেই চলে। ক্রেতার অপেক্ষায় বসে বসে সময় কাটিয়েছি। অন্যান্য বছরের ঈদ বাজারের চেয়ে এবার বিক্রি খুবই কম।
এ বছর ক্রেতা কম কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে দোকানি মো. সাবির বলেন, মানুষের পকেটে টাকা নেই।
নারীমেলার মালিক বেলাল বলেন, মোটামুটি বেচাকেনা আছে। তবে ঈদের আমেজ কেনাকাটার নেই। এখানে বোধহয় ঈদের বেচাকেনা খারাপ। গত বছর আমার দোকান ছিল রাস্তার ওপর। এবার এখানে শিফট করেছি। আগের জায়গার তুলনায় এবার এখানে বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
বিবাহ বাড়ি বেনারসি দোকানের মালিক ফয়সাল বলেন, এ বছর তেমন বিক্রি নাই। ঈদের বাজারে স্বাভাবিক বিক্রি দৈনিক ৫০/৬০ হাজার হওয়া দরকার। সেখানে এখন মাত্র ১১ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। রাত নাগাদ পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। এটা কী ঈদ বাজার হলো? এভাবে টিকে থাকা দায়।
বেনারসি পল্লি ঘুরতে গিয়ে দেখা হলো তিন কলেজ পড়ুয়া তরুণীর সঙ্গে। এদের সবার হাতে শপিং ব্যাগ। ঈদের বাজার করলেন কি না- জানতে চাইলে বলেন, না। আমরা বান্ধবীরা মিলে পছন্দের শাড়ি কিনতে এসেছি। এটা ঈদের বাজার না।
ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবারসহ এসেছেন এক সরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, কদিন পর তো চাপ হবে, তাই আগেই আসছি। পছন্দ হলে ঈদের শপিং সেরে ফেলবো। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছি।
তিনি বলেন, সবার চাওয়া পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন পোশাকে ঈদ উদযাপন। এ কারণে মা, স্ত্রী, বোন সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবছর ঈদের বাজেট কমাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসইউজে/কেএসআর/এমএস