ডেস্ক রিপোর্ট :
গ্যাসের চুলায় অনিয়ম রয়েছে। এক লাখ টাকা দিলে সব ঠিক করে দেওয়া হবে। এভাবে হুমকি দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ এলাকার মো. লোকমান নামের এক গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুস দাবি করেন কর্ণফুলী গ্যাসের ঠিকাদার, টেকনিশিয়ানসহ একটি চক্র।
গ্রাহক লোকমানের এমন অভিযোগ পেয়ে ২০২০ সালের আগস্টে ৪০ হাজার টাকা ঘুস নেওয়ার সময় পাঁচলাইশ থানা পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হন কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মচারী মো. বশির সরকার। সরকারি কাজে ঘুসগ্রহণ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় পুলিশ ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরি করে অভিযোগটি দুদকে পাঠায়।
পরবর্তীতে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) টেকনিশিয়াল গ্রেড-১ মো. খালেদ, কর্ণফুলী গ্যাসের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার মো. এরশাদ ও ঘুসের টাকাসহ গ্রেফতার হওয়া মো. বশির সরকারকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন একই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ। মামলায় দণ্ডবিধির ১৬১, ১০৯, ১২০ (বি), ৫১১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে বশির সরকার চাঁদপুর জেলার মতলব থানার দক্ষিণ টরকী গ্রামের মৃত বাবু সরকারের ছেলে, ঠিকাদার এরশাদ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বড় উঠান গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে। টেকনিশিয়ান মো. খালেদ চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার বটতলী গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।
মামলার বাদী মো. আবু সাঈদ বেঙ্গল প্রেস’কেকে বলেন, বায়েজিদ এলাকার মো. লোকমান নামের এক গ্রাহকের চুলায় সমস্যা আছে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য এক লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন কর্ণফুলী গ্যাসের ঠিকাদার, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীর একটি চক্র।
লোকমানের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ঘুসের ৪০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আসামি বশির সরকারকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে ঘুস, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন/এমআরএম/জেআইএম