ডেস্ক রিপোর্ট :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে নোয়াখালী ও কুমিল্লা রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলোর কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কোনো চাপ নেই।
এর কারণ হিসেবে পরিবহনকর্মীরা জানিয়েছেন, নোয়াখালী ও কুমিল্লার মানুষ অগ্রিম টিকিট কাটে না। নোয়াখালী ও কুমিল্লা রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলোও কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে না।
তারা আরও জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে যারা নোয়াখালী ও কুমিল্লায় যান তারা দিনের টিকিট দিনেই সংগ্রহ করেন। ঢাকা থেকে আধঘণ্টা পরপর বিভিন্ন পরিবহন নোয়াখালী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তাই বাস ছাড়ার সময় কাউন্টারে আসলেও টিকিট পাওয়া যায়। এমনকি ঈদের আগের দিনও টিকিট পেতে কোনো সমস্যা হয় না।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলো ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে। তবে এসব রুটেও অগ্রিম টিকিটের খুব একটা চাপ নেই। কাউন্টারে আসলেই যে কোনো দিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর সায়দাবাদ, ফকিরাপুল, কমলাপুর ও আরামবাগের বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কমলাপুরে কথা হয় কুমিল্লা রুটে চলাচলা মিয়ামি পরিবহনের সাইফুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, কুমিল্লা ও নোয়াখালী যেতে অগ্রিম টিকিট কাটা লাগে না। এই দুই জেলার মানুষ অগ্রিম টিকিট কাটেও না। যাওয়ার আগে কাউন্টারে আসলেই পাওয়া যাবে। ঈদের দিন আসলেও টিকিট পাবেন।
লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচল করা ইকোন পরিবহনের কর্মী মো. করিম বলেন, আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করি না। যাত্রীরা যখন যাবে, সে সময় কাউন্টারে আসলেই টিকিট পাবেন। আমাদের এখানে টিকিট পেতে কোনো সমস্যা নেই।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রুটে চলাচল করা হানিফ এন্টারপ্রাইজের টিকিট বিক্রয়কর্মী সাগর বলেন, আমরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছি। তবে ঈদের অগ্রিম টিকিট কেনার চাপ এখনো সেভাবে আসেনি। এখন ২৭, ২৮, ৩০ এপ্রিলসহ ১ মে ও ২ মে যে কোনো দিনের টিকিটি কাটতে পারবেন।
একই ধরনের কথা বলেন শ্যামলি এন আর ট্রাভেলসের কর্মী মো. আজাদ। তিনি বলেন, আমাদের পরিবহন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি যায়। আমরা ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা শুরু করেছি। আপনি এখন যে কোনো দিনের টিকিট কিনতে পারবেন।
তবে কমলাপুরের সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী মো. রনি জানান, তাদের পরিবহন ঢাকা থেকে কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, বেনাপোল রুটে চলাচল করে। এসব রুটের ঈদের সব অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সিট খালি নেই।
এমএএস/এমআরএম/এএসএম