ইবি প্রতিনিধি : গুচ্ছ পদ্ধতির ফলে শিক্ষার্থীদের অর্থের অপচয় এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে অবস্থিত শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষক নেতারা। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রাকিবসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এতে এক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলে তারা প্রথম ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন টাকা ফেরত পায়নি। ফলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষকদের মানষিক চাপের পাশাপাশি সময় এবং অর্থের অপচয় হয়েছে।
তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা একটি মারাত্মক সমস্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সাত থেকে আটবার ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করেও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কিছু পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলেও পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে এর চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
সংবাদ সম্মেলনে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। এ সত্ত্বেও যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ‘
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষকদের দাবিগুলোর একটা চিঠি হাতে পেয়েছি। আমাদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত মিটিং আছে। সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরবো। মূলত শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এটাই আমার প্রধান লক্ষ্য।