মোঃ আবু সাহেব, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট বহাল রাখা ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সামনে দিনাজপুর অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অর্ধবেলা অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
দুই দফা দাবি নিয়ে তারা তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। প্রথম দাবি মানবিক ইউনিটের সাথে বাংলা, ইংরেজী ও আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া। দ্বিতীয় দাবি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করা।
‘ইউজিসির অনিয়ম মানি না, মানব না’ এই স্লোগানে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা এক শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আনাম বলেন, গত ২ বছর যাবত বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এমতাবস্থায় হঠকারী এমন সিদ্ধান্তে আমাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে আমাদের দুই দফা দাবি।
এক হয় বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট চালু নয় মানবিকের সাথে বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয় দাবি সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
কর্মসূচিতে অঙ্কিতা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,”আমরা শিক্ষার্থীরা আজকে রাস্তায় দাড়িয়েছি।আমরা ইউজিসির হঠকারি সিদ্ধান্ত মানি না।গুচ্ছ পদ্ধতিতে সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল চাই।যাতে করে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।”
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ” আমরা গতবছর মার্চে জানিয়ে দিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে যা পড়ানো হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। এটি হঠাৎ করে নেয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হলো উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করা সকল শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে একবারে সর্বোচ্চ কতজনের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে শিফট অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি আবার মিটিং হবে তখন উক্ত বিষয় গুলো নিয়ে পুনরায় আলোচনা করা হবে। তবে কোনো কিছুই এখন চূড়ান্ত করা হয়নি “।
উল্লেখ্য যে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আগামীতে আমরণ অনশনের যাওয়ার হুমকি দিয়েছ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।