ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতীয় সরকার নিয়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা কথাবার্তার মধ্যেই দলের অবস্থান পরিস্কার করলো বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরেই তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান পরিস্কার করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে যৌথ সভার পর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে আমরা একটি জাতীয় সরকার গঠন করবো। এটিই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) বলেছেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যে সমস্যার সৃষ্টি করেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া সেটির সমাধান সম্ভব নয়। যদি সত্যিকার অর্থেই একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হয় এবং তার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবেই শুধু দেশের চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এখন নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বিরাজমান সব সমস্যার সমাধান চাই।
সরকার বিরোধী যেসব দল রয়েছে তাদের মধ্যে আ স ম আবদুর রবের জেএসডি এরইমধ্যে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। তারা মনে করে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করে তাদের অধীনে আগামীর জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের গণফোরামও মনে করেন, বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় সরকার গঠন জরুরি।
তবে সরকারপতন আন্দোলনের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দাবি জাতীয় সরকার নয়। দলটি জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরুদ্ধে। এই প্রশ্নে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মতভিন্নতা রয়েছে।
কেএইচ/এমপি/এএসএম
