ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজশাহীর কাটাখালী বাজার থেকে শ্যামপুর ঘাট পর্যন্ত তিন কোটি টাকা ব্যয়ের সড়কটি তিন মাসেই নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) অভিযোগ অনুসন্ধানে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন, উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী সমন্বয়ে একটি টিম সড়ক ও পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র সড়কটির নির্মাণকাজের দেখভালে নিয়োজিত ছিলেন। তবে মাত্র তিন মাসেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম পৌরসভা থেকে সেই রাস্তার নির্মাণ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপ গ্রহণ করে। পরে প্রতিবেদন তৈরি করে টিম কমিশনের থেকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় এলাকার কম্পিউটার অপারেটর সুরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ফি’র বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযানে জানা যায়- সুরঞ্জন শীল কেশারপাড় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের একজন উদ্যোক্তা। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আবু তাহেরের অথরাইজড ইউজার আইডি ব্যবহার করছেন ও সচিবের ইউজার আইডি ব্যবহারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি করেন। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাহকগণের বিভিন্ন সেবার জন্য তিনি সরকারের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সুরঞ্জন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, অতিরিক্ত টাকা থেকে কিছু টাকা তিনি নেন ও বাকি টাকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের চা-নাস্ত, সচিবের মাইজদি থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসা-যাওয়ার খরচ, কম্পিউটারের মেরামত ও কাগজ ক্রয়ের বিল ইত্যাদি কাজে ব্যয় করেন।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল ভূঁইয়া জানেন। সুরঞ্জন শীল আরও দাবি করেন, উদ্যোক্তা সেন্টারের মনিটর, প্রিন্টার, ইন্টারনেট বিল সরকারিভাবে খরচ বহন করা হলেও কম্পিউটারের সিপিইউর মালিক তিনি তার নিজ মালিকানাধীন।
অভিযানের সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি বিধায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া বক্তব্য বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানায় দুদক।
এসএম/আরএডি/এএসএম