ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠের মালিকানায় যেন কেউ না থাকে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এ মাঠ রক্ষা আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া কিশোর ইসা আব্দুল্লাহ পিয়াংশু।
মঙ্গলবার (৩ মে) তেঁতুলতলা মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে পিয়াংশ এ দাবি জানান।
পিয়াংশু বলেন, ‘তেঁতুলতলা মাঠ সবসময় খেলার মাঠ হিসেবে থাকুক। এটা সবার মাঠ। এ মাঠের মালিকানা যেন কেউ না থাকে। সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে এটা খেলার মাঠ থাকুক, সেই কামনা করি।’
গত ২৪ এপ্রিল কলাবাগান থানা পুলিশ ওই মাঠে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে সৈয়দা রত্না ও তার কিশোর ছেলে পিয়াংশু ফেসবুক লাইভ করেন। পরে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে সরকার ওই মাঠে থানা ভবন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই মাঠের মালিকানা এখনো পুলিশেরই।
এদিকে, মাঠ রক্ষা করতে পেরে খুশি এলাকাবাসী। এবার সেখানে ঈদুল ফিতরের জামাত হওয়ায় ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে।
মঙ্গলবার (২ মে) সরেজমিনে তেঁতুলতলা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। প্রত্যেকের হাতে জায়নামাজ। বৃষ্টির আশঙ্কায় কেউ কেউ ছাতা হাতেও এসেছেন। সকাল ৮টায় মাঠে ঈদের জামাত হয়। এ জামাতে তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ সফি উল্লাহ ইমামতি করেন।
মাঠ রক্ষা আন্দোলনে আটক হওয়া পিয়াংশ ছিল সবার মধ্যমণি। নামাজ শেষে পিয়াংশুর সঙ্গে কোলাকুলি করতে এগিয়ে আসেন অনেকে। রীতিমতো তাকে ঘিরে সেখানে জটলা সৃষ্টি হয়।
তেঁতুলতলা মাঠে নামাজ পড়তে আসা সামিউল হাশেম বলেন, ‘পিয়াংশু ও তার মায়ের কাছে আমরা ঋণী। তাদের আন্দোলনের কারণে আমরা এ মাঠে আজ নামাজ পড়তে পারলাম। তাদের কারণেই তেঁতুলতলা মাঠে শিশুরা আজ ঈদের আনন্দ করতে পারছে। পিয়াংশু আমাদের হিরো।
এমওএস/এএএইচ/এমএস