ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রযুক্তিবান্ধব দক্ষ জনশক্তি গঠনে হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জ ঝিলমিল প্রকল্পে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব দক্ষ জনশক্তি গঠনে হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। আইসিটি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃজন ও বিকাশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে আগামীর চ্যালেঞ্জ দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জ খুবই ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদ। মেড ইন জিনজিরার হাত ধরে হালকা প্রকৌশল ও শিল্পখাত মেড ইন বাংলাদেশের বৈশ্বিক স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখানে ছোট ছোট শিল্প কলকারখানা সারা বাংলাদেশের মধ্যে কেরানীগঞ্জকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে কেরানীগঞ্জ হবে অন্যতম চালিকাশক্তি।
‘
আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর হিসেবে নেপথ্যে ভূমিকার রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ। তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে ও আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার স্বপ্ন দেখছি।
কেরানীগঞ্জে হাইটেক পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭টি খাল উদ্ধারের মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ, শুভাঢ্যা খাল খনন, ৫টি প্রশস্ত রাস্তা, অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ বিপিএমআই (বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট), ভোকেশনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ আগামীতে কেরানীগঞ্জকে দেশের শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো সমৃদ্ধ একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সাততলা বিশিষ্ট ১৫ হাজার বর্গফুটের বিশালায়তনের হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এখান থেকে প্রতি বছর প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে ১ হাজার জন ও এখানে স্থায়ীভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৩ হাজার মানুষের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে উল্লেখ করে বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা সাহসিকতা অদূরদর্শিতা দিয়ে একটি স্বল্পোন্নত দরিদ্র প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করেছেন। যিনি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামী ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বক্তব্য দেন। শেষে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত কেরাণীগঞ্জের লাল মসজিদ (দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ) পরিদর্শন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও ভারতের হাই-কমিশনার।
আরএমএম/এমআরএম/জিকেএস