ডেস্ক রিপোর্ট :
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আসমাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
বুধবার (২২ জুন) সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের স্মাগলিং অ্যান্ড ফেইক কারেন্সি টিমের সহকারী কমিশনার (এসি) মান্না দে বেঙ্গল প্রেস’কেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারের সময় আসমাউলের কাছ থেকে অনলাইন প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসি মান্না দে বেঙ্গল প্রেস’কেকে বলেন, ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকায় গত ২৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা করে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। তদন্তের পর নড়াইলের কালিয়া উপজেলা থেকে প্রতারকচক্রের মূলহোতা আসমাউলকে গ্রেফতার করা হয়।
উদ্ধার করা অনলাইন প্রতারণার সরঞ্জাম
প্রতারণার কৌশল হিসেবে আসমাউল দারাজ অনলাইন শপের নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ খোলেন। সেখানে ৬৫ শতাংশ ছাড়ে নতুন মোবাইল ফোনের সঙ্গে বিনামূল্যে একটি স্মার্ট ঘড়ি দেওয়ার অফার দেন। এছাড়া বিকাশে ৫২০ টাকা অগ্রিম ডেলিভারি চার্জ পরিশোধ করলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আগ্রহী ক্রেতারা অগ্রিম টাকা পরিশোধ করলে পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ও লিংক আইডিগুলো বন্ধ করে নতুন আইডি খোলেন আসমাউল। এভাবেই তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন ও অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন।
এ প্রসঙ্গে দারাজের সিসিএও হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে দারাজের মতো বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্মের সাদৃশ্যে ভুয়া পেজ তৈরি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করে আসছিল। বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত ও আটক করায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানাই। গ্রাহকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা সব ধরনের অফার ও লেনদেন আমাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও দারাজ অনলাইন শপিং অ্যাপের মাধ্যমে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করি। তাই অন্য কোনো পেজ বা ওয়েবসাইট দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।
টিটি/এসএএইচ/এমআরএম/জিকেএস