ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার অস্থায়ী হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করার সময় চক্রের মূলহোতা আবু নাছের খালিদসহ ১০ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ৮৫ হাজার ৩৩০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সবজির দোকান ও ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান থেকে চাঁদা আদায় করতেন। তারা এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিলেন।
গ্রেফতাররা হলেন আবু নাছের খালিদ (৪২), কামরুল হোসেন (২১), জাকারিয়া ইসলাম ওরফে রুবেল (৩২), মো. সিদ্দিক (৪৬), রেজাউল করিম পাভেল (৩৫), জিয়াউল ইসলাম (৩৮), মকবুল হোসেন বাবু (৩৩), বাবুল (৫২), মো. খোকন (৪৩), ও জাকির হোসেন (৪০)।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে বেঙ্গল প্রেস’কেকে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা) অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সবজির দোকান ও ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা জীবননাশের হুমকি দিতেন। তাদের অত্যাচারে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানদারদের জীবন অতিষ্ঠ বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় চাঁদাবাজ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খিলগাঁও থানার বনশ্রী ও মেরাদিয়া কাজী বাড়ি ও ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর রোডে তারা নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন। এছাড়া কবুতর পট্টিসহ কাঁচাবাজার থেকে প্রতি বুধবার চাঁদা আদায় করতেন তারা। চাঁদাবাজির জন্য চক্রের অন্য সদস্যরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পেতেন।
চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। এছাড়া গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিটি/কেএসআর/জেআইএম