ডেস্ক রিপোর্ট :
এবার পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এদিন দুপুর ১টার পর রমনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানস্থলেও কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া মাঝপথে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রমনার বটমূলে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ বরণ উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়নি। এবার সীমিত পরিসরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ২টার মধ্যে রমনায় সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে, যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাসায় ফিরে ইফতার করতে পারে।’
রমনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ডগ স্কোয়াড/ছবি: বেঙ্গল প্রেস’কে
তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকার মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। বর্ষবরণের দিনে দুপুর ১টার পরে রমনায় প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট থাকবে। চেকপোস্ট পার হয়ে প্রত্যেককে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। এসব এলাকায় সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্ত্বর সিসিটিভির আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কোয়াডের পাশাপাশি রমনার লেকে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল মোতায়েন থাকবে।’
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের বিশেষ টিমের মহড়া/ছবি: বেঙ্গল প্রেস’কে
২০০১ সালে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সেই হামলাকে মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। কেউ আক্রান্ত হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কোন রাস্তা দিয়ে কীভাবে নেওয়া হবে, সেটার জন্যও আলাদা দল প্রস্তুত থাকবে।’
ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি। কারণ এসব স্থানে খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চশব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।’
রমনার বটমূলে অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শনে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা/ছবি: বেঙ্গল প্রেস’কে
মঙ্গল শোভাযাত্রায় মাঝপথে যোগ দেওয়া যাবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝরাস্তায় চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ কঠোর আচরণ করতে বাধ্য হবে।’
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/এএএইচ/জিকেএস