ডেস্ক রিপোর্ট :
ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। মূল প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৮০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এখন ব্যয় বেড়ে ১৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল আগস্ট ২০১৮ হতে জানুয়ারি ২০২১ নাগাদ। এখন ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে জানুয়ারি ২০২২ সাল নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে জুন ২০২৩ নাগাদ করা হয়।
এটাসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।
ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্পটি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায়।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ মেইন লাইন ও ৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ লুপ লাইন নির্মাণ করে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপনসহ উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিতকরণ করা হবে।
মোংলা পোর্ট হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনাকরণ। প্রধান কার্যক্রম: ১০ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ, প্ল্যাটফর্ম ও প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ, স্থায়ী পথ মালামাল ক্রয় (রেল ১২৭৫ মেট্রিক টন, কনক্রিট স্লিপার ১৫১৩০টি, পাথর ১৭২০০ ঘনমিটার)।
সাতটি মাইনর ব্রিজ ও ৯৭০ মিটার তীর প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কার হবে।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ: তিন একর ভূমি অধিগ্রহণ, একটি ডাবল লাইন ব্রডগেজ রেল সেতু, ২৩০ বর্গমিটার ফুট ওভারব্রিজ, একটি বর্ডার গেট, এক তলা ফাংশনাল ভবন, দুটি ওয়াশপিট লাইন, চারটি রেইজড প্ল্যাটফর্ম, একটি আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ও প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। একটি নতুন লুপ লাইন নির্মাণ ও চারটি লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, বিদ্যমান প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা বৃদ্ধি , স্টেশন বিল্ডিংয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর ৫ মাস বৃদ্ধি।
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণতা: অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৭৯৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ১০ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উপ-আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এছাড়া, মোংলা পোর্ট হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার হবে।
এমওএস/আরএডি/এএসএম