ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের রড ও স্টিল স্ট্রাকচার বিপণন ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে কারসাজির মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিটন রডে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেশি নিয়েছেন ক্রেতা। এছাড়া গত তিন মাসে মানভেদে প্রতিটন রডের দাম অন্তত ৩০ হাজার টাকা বেড়েছে। এমনকি রডের মান নিয়েও কারসাজি করতে দেখা গেছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) এসব কথা বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নির্মাণ ব্যবসায়ী ও রড ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সফিকুজ্জামান বলেন, মূল্য তালিকা টানালে স্বচ্ছতা কিছুটা হলেও আসবে। কত টাকা লাভ করতে হবে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দেবো। ট্যারিফ নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকারে চিঠি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করবো।
তিনি বলেন, এসও প্রথা আছে জানতাম না। এ ব্যাপারে আলোচনা করবো। গ্রেড এবং নন গ্রেড রডের মধ্যে পার্থক্য দেখবো। রডের ওজনের ক্ষেত্রে প্রচুর অভিযোগ আছে। এখানে যদি কোনো চুরি ধরা পড়ে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংক, শ্রমিক খরচ সবকিছু বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খুচরায় প্রতিটন রডে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। গত তিন মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বেশি দামে খারাপ মানের রড বিক্রি করা হচ্ছে। রডের মান নিয়েও কারসাজি করতে দেখা গেছে। সিমেন্ট, বালুসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েছে। এ প্রবণতা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে প্রভাবিত করবে।
সভায় ইংলিশ রোড আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জানান, আমরা কমিশন এজেন্টের মতো রড-স্টিল স্ট্রাকচার বিক্রি করে থাকি। এতে টনপ্রতি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা লাভ আসে। কারখানাগুলো কাঁচামাল আমদানির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য ঘোষণা করে, সামগ্রিক বিক্রির ওপর ভ্যাট দেয় না।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি বিমল রায় বলেন, রড-সিমেন্টের দাম বাড়ার কারণে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বর্ধিত মূল্য সমন্বয় করা হলে আমাদের শ্রমিক, ঠিকাদার সবাই উপকৃত হবেন। হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেন মিলাররা। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি যদি রেগুলেটরি কমিটি যাচাই করে তবে খুবই ভালো হবে। বাজারে অনিয়মের কারণে দাম বাড়লে ভোক্তার বেশি ক্ষতি হয়। একটি ডেডিকেটেড রেগুলেটরি বডির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। দোকানদাররা ইচ্ছা করলেই দাম বাড়াতে পারবে না। মূল্য নির্ধারিত থাকলে বাজার অস্থিতিশীল হবে না। সকাল-বিকেলে দামের তারতম্য দেখা যায়।
ইএআর/কেএসআর/জিকেএস