ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিনকে ফাঁকি দিয়ে দিব্যি বেরিয়ে যায় ছয় লাখ সৌদি রিয়ালসহ লাগেজ। এমনকি স্ক্যানিং শেষে বুকিংয়ের পর বিমানেও উঠে যায় লাগেজ। তবে ভাগ্য আর সহায় হয়নি অর্থ পাচারকারীদের। ছয় লাখ সৌদি রিয়াল পাচারকালে দুই যাত্রীকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের গোয়েন্দা টিম।
আটক যাত্রীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুয়েল (৩৬) ও কুমিল্লার গোলাম রব্বানী (৪৬)। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা সমমূল্যের রিয়াল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বেঙ্গল প্রেস’কেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে জুয়েল ও গোলাম রব্বানী বাহরাইন যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে তারা দুবাই যেতে চেয়েছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নজরদারি করা হয়। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ তাদের দুজনকে হোল্ডিং লাউঞ্জের ভেতর থেকে আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা অর্থপাচারের কথা স্বীকার করেন। এরপর বিমান থেকে লাগেজ নামিয়ে ছয় লাখ সৌদি রিয়াল জব্দ করা হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা সমমূল্যের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, গ্রেফতাররা লাগেজগুলো বুকিং দিয়ে ফ্লাইটে উঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিমান থেকে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে এসব মুদ্রা পাওয়া যায়। লাগেজের নিচের অংশ লুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা।
বিমানবন্দরে স্ক্যানিং করা হলেও লাগেজের ভেতর সৌদি রিয়াল ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজন লাগেজের ভেতরে চতুরতার সঙ্গে এসব মুদ্রা লুকিয়ে রেখেছিলেন। অনেক সময় একসঙ্গে কয়েকটি লাগেজ স্ক্যানিং করার কারণে ধরা পড়ে না। তারা ভেবেছিলেন এগুলো স্ক্যানিংয়ে ধরা না পড়লে তারা পার পেয়ে যাবেন। তবে আমাদের সবসময় গোয়েন্দা নজরদারি থাকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, দুবাইয়ে এসব মুদ্রা পাচারের উদ্দেশ্য ছিলো তাদের। প্রতি সপ্তাহেই তারা দুবাইয়ে যাতায়াত করেন। স্বর্ণ চোরাচালানের উদ্দেশ্য এসব মুদ্রা ব্যবহার করা হতে পারে বলেও জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিটি/কেএসআর/এএসএম