ডেস্ক রিপোর্ট :
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৫ মার্চ) থেকে পাঁচদিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। একই সময়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসও পালন করা হবে। পাঁচদিনব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম চারদিন রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে। পঞ্চম দিন অর্থাৎ সমাপনী কর্মসূচি হাতিরঝিলে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ২৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করায় এ উদযাপনের নামকরণ করা হয়েছে ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’। কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে সারাদেশে ৯টা থেকে ৯.০১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে মঞ্চনির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলছে। আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, মঞ্চনির্মাণসহ উদ্যানে নির্দিষ্ট অংশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও। সাধারণ দর্শক ও অন্যান্য ভিআইপিদের জন্য মঞ্চের সামনে আসন রাখা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাট্যানুষ্ঠান, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ছুটির দিনে দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রিহার্সাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ২৬ মার্চ রাতে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। ৩১ মার্চ হাতিরঝিলে রাত ৮টা থেকে ড্রোন শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাইট অ্যান্ড লেজার শো ও আতশবাজি অনুষ্ঠিত হবে।
এমইউ/জেএইচ/এএসএম