জামান চৌধুরী সিলেট:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ মার্চ) বাদ আছর সিলেটে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এতে পুলিশ বাধা দেয়নি, তবে ছিলো সতর্ক অবস্থানে।
আছরের নামাজের পরে সোয়া ৫টায় বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট মসজিদের সামনে থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে চৌহাট্টায় ঘুরে আবারও বন্দরবাজারে এসে শেষ করে । পেছনে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
এদিকে, হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করতেই পথচারী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সবাই শাটার প্রায় বন্ধ করে দোকানের ভেতরে অবস্থান নিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। হেফাজাতের মিছিল চলাকালে ন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কের পথচারীরা ছুটে পাশের রাস্তাগুলোতে ঢুকে পড়েন। এসময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে সে জন্য আসরের নামাজের ঘণ্টাখানেক আগ থেকে কালেক্টরেট মসজিদের আশপাশে পুলিশের বিভিন্ন শাখার শতাধিক সদস্য সতর্ক অবস্থান নেন।
এদিকে, মিছিল শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোর্ট পয়েন্টে বিশাল সমাবেশ করছে হেফাজত। এতে পুরো বন্দরবাজারে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নগরীর বন্দরবাজারে।
ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী গুজরাট হত্যাকান্ডের হোতা। বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার মূল কারীগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে সিলেটে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল চলছে । আজ সকালে জামায়াত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের ১৫টি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোদীবিরোধী কর্মসূচিতে সহিংসতায় প্রাণহানীর ঘটনার প্রতিবাদে নয়াসড়ক এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা।
এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে এবং ১৪ জনকে আটক করে। এসময় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ফেলে যাওয়া ১৫টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।