ডেস্ক রিপোর্ট :
মুজিবনগর দিবসটির তাৎপর্য যেন মানুষ জানতে ও বুঝতে পারে তার জন্য আরো আলোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের চারজন মুজিবনগর সরকারের ছিলেন। যার ফলে এই চারজনকে পরবর্তীতে জীবন দিতে হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেসময়ও কিছু ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে নানা সময়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশে বসবাস করতে হলে ন্যূনতম যে নীতিগুলো মেনে চলা উচিত তা হলো- মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা। কিন্তু সেটা না মানা দুঃখজনক। আমাদের যে ন্যূনতম রাজনৈতিক মূল্যবোধ ও মেনে নেওয়ার দরকার সেটা থাকতে হবে।
নতুন প্রজন্মকে মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধকে জানানোর তাগিদ দিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের বিষয়গুলো জানানো দরকার। আমাদের পাঠ্যসূচিতে সংযুক্ত করা দরকার। নয়তো একটা সময় এর মূল্য দিতে হবে আমাদের। সত্য চিরদিন সত্য হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান প্রমুখ।
আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস