ডেস্ক রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর দুঃস্থ-অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র ও শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিন হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। প্রতি প্যাকেট ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল- ৭ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন ও ২ লিটার সয়াবিন তেল।
মমিনুর রহমান বলেন, প্রতি বছর রমজানে সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এ বছরও ইফতার পার্টি আয়োজন করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটি না করে ইফতার পার্টির জন্য বরাদ্দ হওয়া টাকায় তিন হাজার অসহায়-অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র ও শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হলো। সমাজের অসহায় মানুষদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এটা জেলা প্রশাসনের একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ইফতার পার্টির আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রমজানে প্রতিদিনই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইফতার পার্টির আয়োজন করছে। এসব ইফতার পার্টিতে পরিবেশিত খাবারের সিংহভাগ অপচয় হচ্ছে। আবার আয়োজনের পেছনে প্রচুর অর্থও ব্যয় হচ্ছে। এ ধরনের ইফতার পার্টি যথাসম্ভব পরিহার করে সে অর্থ অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মো. মাসুদ কামালের সভাপতিত্বে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার কামাল দুলু, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রায়হান দোলন, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও মানবিক স্বেচ্ছাসেবক টিম উপহার সামগ্রী বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।
ইকবাল হোসেন/এমআইএইচ/জেআইএম