Bangal Press
ঢাকাWednesday , 8 November 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘আমার স্ত্রী তো আন্দোলনে যায়নি, তাকে কেন গুলি করে মারল?’

Link Copied!

গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত গার্মেন্টস কর্মী আঞ্জুয়ারা খাতুনের (৩০) স্বামী জামাল বাদশা জানান, আমার স্ত্রী একজন সাধারণ গার্মেন্টস কর্মী ছিল। সে তো আন্দোলনে যায়নি। তার তো কোনো দোষ ছিল না। তাহলে তাকে (আঞ্জুয়ারা) কেন পুলিশ গুলি করে মারল?’ বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই আহাজারি করছিলেন তিনি। 
এ সময় জামাল বাদশা বলেন, ‘আমার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা ইসলাম গার্মেন্টসে চাকরি করত। আমি আলাদা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। সরকার মঙ্গলবার বেতন বাড়ালেও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ হয়। আজ সকালে আবারও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে। এর মধ্যে গার্মেন্টস ছুটি ঘোষণা করে। আঞ্জুমান গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে চৌরাস্তার জরুন এলাকায় এলে সেসময় পুলিশ গুলি করে।’
তিনি বলেন, ‘সে বাসায় আসার কোনো গলি খুঁজে না পাওয়ায় এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশের গুলি তার মাথায় এসে লাগে এবং ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সেখান থেকে আঞ্জুয়ারাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানা এলাকায়। আমি ও আঞ্জুয়ারা এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকায় থাকি। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমার তো কিছুই আর রইল না। আমার স্ত্রীকে তারা গুলি করে মারল, এই দায় কে নেবে? আমি সরকারের কাছে আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।’ 
নিহত আঞ্জুয়ারা ইসলাম গার্মেন্টসের ইউনিট-২ এর সেলাই মেশিনের অপারেট ছিলেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন শ্রমিক। এর আগে বুধবার সকাল থেকে সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরী প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে নামেন গাজীপুরের কোনাবাড়ি ও জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, ইসলাম গার্মেন্টস ও বেস্টঅল সোয়েটারসহ আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। তারা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করলে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 
পরে সকাল ৮টার দিকে কাশিমপুরের জরুন মোড়ের সামনে একত্রিত হয়ে মিছিল করে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে রওশন মার্কেটের হয়ে হাতিমারার দিকে এগিয়ে যায় উত্তেজিত শ্রমিকরা। 
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, শ্রমিকদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হলেও শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ারশেল ছুড়লে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টা ও সাড়ে ১২টার দিকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 



আশরাফুল/সা.এ.

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।