ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তলন করে লাখ লাখ টাকার ব্যবসা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের দাবি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালের দিকে সরজমিনে দেখা যায় ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল এলাকার বংশী নদী থেকে ৫০০ মিটার দূরে দূরে তিনটি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তলন করে স্থানীয়দের ব্যক্তিগত জমি ভরাট করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল রামভদ্রপাড়া মুক্তিযোদ্ধা খেলার মাঠের পাশে, গাওতারা, ঘোমগ্রাম এলাকায় হেলাল উদ্দিন, রহমান, পলাশ, আসলাম নামের কয়েকজন মিলে তিনটি ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করছে। আমরাইল রামভদ্রপাড়া এলাকার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন করে পাশেই ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তির জমি ভরাট করে দিচ্ছে হেলাল উদ্দিন।
জমির মালিক ইসমাইল হোসেনের ছেলের স্ত্রী জানান, আমাদের ১৩ শতাংশ জমি আছে এখানে। আমাদের জমি ভরাট করে বাড়ি করবো। তাই আমরা চার লক্ষ টাকা চুক্তি করেছি হেলাল উদ্দিনের সাথে। তিনি আমাদের এই ১৩ শতাংশ জমি ভরাট করে দিবেন বালু দিয়ে। বালু কোথায় থেকে আনা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, হেলাল উদ্দিন নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে পাইপের মাধ্যমে আমাদের এখানে ভরাট করছে। আমরা ছাড়াও আরো অনেকের জমিই ভরাট করেছে।
অভিযোক্ত ড্রেজারের মালিক মো. হেলাল উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইউসুফ ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়েছি। ইউসুফ ভাই প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি আনছিলো। আমি প্রায় ৭ লাখের মত টাকা ইউসুফ ভাইকে দিয়েছি। ইউসুফ ভাই কিছুদিন আগেই মারা গেছে। প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতির কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন বলেন, অনুমতি তো ইউসুফ ভাই আনছিলো কিন্তু তিনি তো মারা গেছেন তার কাছে ছিলো। আমাদের কাছে কোন কাগজপত্র নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এই নদী থেকে কিছুদিন আগে কয়েকটি এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে বালি কেটে ট্রাক দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এখন আবার কয়েকটা ড্রেজার বসানো হইছে। এতে নদীর পাশে থাকা ব্যক্তিমালিকানার জমি ভেঙে পরেছে অনেকের। তারা রাজনৈতিক ব্যক্তি আমরা কিছু বলতেও পারি না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন,ড্রেজার কোন বৈধভাবে চালানোর সুযোগ নাই। ড্রেজারের বিরুদ্ধে আমরা কন্টিনিউয়াস ব্যবস্থা নেই৷ আমরা গত দুইদিন আগেও ড্রেজার পাইপসহ জব্দ করেছি বালিয়া এলাকা থেকে। এইটা আমাদের জানা ছিলো না। আপনি দিলেন আমরা বিষয়টি দেখবো।
সালাউদ্দিন/সাএ