সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ থেকে: শুধু মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নয়, প্রাণিকূলের জন্যও শব্দদূষণ মারাত্মক ক্ষতিকর। শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিনিয়ত স্থলে ও জলে পড়ছে। শব্দদূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। শব্দের ডেসিবেল শ্রাব্যতার সীমায় থাকলে আমরা সুস্থ থাকবো এটাও বেশিরভাগ লোক জানিনা। তাই আর দেরিতে নয়, দরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ। এজন্যে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শব্দসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ আহ্বান জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের চরিত্রে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিদেশিদের অনেকেই আস্তে কথা বলে। পুরো জাতিকেই সচেতন হতে হবে। ধারণা করা হয় বিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এসেছি। মানব জাতি এক অভ্য্যাসকে ছেড়ে অন্য অভ্যাস গ্রহণ করেছে। মনে হয় আমরাও উচ্চ ডেসিবেলের শব্দ গ্রহণ করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, যেটা কখনোই কাম্য নয়। আমরা শব্দদূষণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছি। আমরা যেটা শিখাবো পরবর্তী প্রজন্ম তাই শিখবে। আমাদের সমাজকে যেভাবে গড়ে তুলবো সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই শব্দদূষণের বিষয়ে আমাদের জনসচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। পরিবহণ, ধর্মীয়সহ প্রতিটি সেক্টর থেকে শুরু করে সকল সেক্টরেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা উচিত।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ জরুরি। শব্দদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শব্দদূষণের কারণ, ক্ষতিকর প্রভাব, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
শাকিল/সাএ