সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পরও শ্রমিকদের চলমান অসন্তোষে কারখানা ভাংচুরের ঘটনায়১৩০ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, নরসিংহপুর, ছয়তলা, জিরাবো এলাকার দুই পাশে থাকা বেশ কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক কারখানাগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। বন্ধ ঘোষণা করা কারখানার শ্রমিকরা সকালে এসে কারখানা ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখে যার যার বাসায় ফিরে গেছেন। এসব অঞ্চলে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যে কারখানার শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেসকল কারখানায় কাজ চলছে। তবে যে কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা কাজ না করে বের হয়ে গেছে এবং ভাঙচুর করেছে এমন শতাধীক কারখানা শ্রম আইনে ১৩ এর ১ ধারায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করছে। শিল্পাঞ্চলের বাকি কারখানাগুলোতে কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব এলাকায় শান্তিপূর্ন পরিবেশ বিরাজ করছে।
শিল্পাঞ্চল ১ এর পুলিশ সুপার আরও জানান, এ পর্যন্ত অসন্তোষের ঘটনায় হামলা ও কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৬ জন এজাহার নামীয় ও বাকিগুলোতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
শিল্পাঞ্চলে কাজের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কারখানা ও আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শাকিল/সাএ