বিশ্বকাপ মিশন শুরুর দেড় মাস আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হন সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে সাকিব বলে গিয়েছিলেন এই টুর্নামেন্টের পর দলের নেতা থাকবেন না তিনি। অবশ্য পুরো বিশ্বকাপ জুড়েও বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন না সাকিব। চোটের কারণে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি।
অবশ্য এর আগে থেকেই আলোচনায় আছে বাংলাদেশ দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক ইস্যু। সাকিবের রেখে যাওয়া স্থানে কে হবেন অধিনায়ক তা নিয়ে আছে নানা খবর, আছে নানা সম্ভাবনা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যর্থ বিশ্বকাপ যাত্রা। আর এই দিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পেলে অধিনায়কত্ব করবেন কিনা। জবাবে শান্ত বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তো করছি (অধিনায়কত্ব)। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে তাহলে এটা ভালোভাবে করার জন্যই প্রস্তুত।’
অধিনায়কত্ব নিয়ে শান্ত আরো বলেন, ‘অধিনায়কত্বের ব্যাপার যেটা বললেন দুই ম্যাচেই জিততে পারিনি। কিন্তু অনেক কিছু শেখার ছিল, দুই বড় দলের বিরুদ্ধে চাপ ছিল। আমার মনে হয় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’
এবারের বিশ্বকাপের যাত্রায় লিগ পর্বের দুই ম্যাচ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন শান্ত। তবে অধিনায়ক হিসেবে তার অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। তিন ম্যাচের সবকটিতেই হারের মুখ দেখেছেন তিনি। নিজেও ব্যাট হাতে অধিনায়ক-সুলভ কোন ইনিংস উপহার দিতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত টাইগার ক্রিকেটে কে হবেন নতুন অধিনায়ক তা জানার জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ