ভারতের গুহা থেকে চোরাই কয়লা আনতে গিয়ে গুহার ভিতরে মাটি চাপায় নুরুল হক(২০)নামের বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। এসময় আরও ৫জন আহত হয়েছে। নিহত নুরুল হক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের লাকমা ছড়ার পশ্চিম পাড়ের আব্দুল খালেকের ছেলে। রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ১০টার দিকে ১২৯৭ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ভারতের ভেতরে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাকমা সীমান্তে ১২৯৭ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে সীমান্তের পুলিশ বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী, মাদক মামলা,সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার মামলার আসামী সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানীরা আবুল কালাম,শরাফত আলী,শামসুল আলম ভোরে ২০-২৫ জনের একটি দল চোরাই পথে ভারতের অভ্যন্তরে কয়লা আনতে পাঠায়। এসময় কয়লা গুহা থেকে বস্তায় ভরে কয়লা আনার সময় উপর থেকে মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নুরুল হক(২০)মারা যায়। এসময় তার সাথে থাকা আরও ৫-৬ জন আহত হয়। নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসার পর নিহতের লাশ পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে যায়। আর আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন।
তিনি জানান, এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানো হবে।
উল্লেখ, এর পূর্বে গত ৫-৬বছরে একেই ভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে তাহিরপুর উপজেলার বাগলী, জঙ্গলবাড়ি, লালঘাট, ট্যাকেরঘাট, লামকা, চানঁপুর, রঙ্গা ছড়া, সুন্দরবন বাশতলা ছড়া, চারাগাও শুল্ক ষ্টেশন,কলাগাও ছড়া এলাকার চোরাই পথে ভারতে গিয়ে কয়লা গুহা থেকে কয়লা আনতে গিয়ে ১০জন নিহত হয়েছে।
শাকিল/সাএ