সিরাজগঞ্জে স্ত্রী লিমা খাতুন হত্যার দায়ে স্বামী মো. সবুজ (২৬) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মো. সবুজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চালা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
মামলার রায়ের কপি থেকে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার চর সাতবাড়িয়া গ্রামের বকুলের মেয়ে লিমা খাতুনের সাথে প্রায় সাতমাস পুর্বে দন্ডপ্রাপ্ত সবুজের বিয়ে হয়। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী লিমা ও তার স্বামী দুজনে লিমার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। ১৫ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টায় লিমার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও ফুফু শ্বাশুড়ীও তাদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন এবং সকলেই লিমার বাবার বাড়ীতে দুধ পিঠা খান।
এসময় সবুজ বিভিন্ন সময় লিমাকে অত্যাচার-মারপিট করে বলে লিমার বাবা সবুজসহ তার বাবা-মাকে জানান। একই সময় আসামী সবুজও বলেন, লিমাও তার তার বাবা-মাকে ঠিকমত ডাকেন না। এক পর্যায়ে সবুজ লিমাকে আচার-আচরন শিখিয়ে সবুজের বাড়ীতে পাঠাতে বলেন। এ অবস্থায় ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫টায় লিমাকে সাথে নিয়ে সবুজ নিজ বাড়ীতে চলে যায়। পরবর্তীতে একই দিন দিবাগত রাত ৮ টার পর থেকে পরদিন দুপুর ১২ টার মধ্যে যে কোন সময় সবুজ তার স্ত্রীকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ঘটনার পর লিমার বাবা বকুল বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামী সবুজকে গ্রেফতার করে। পরে আসামী সবুজ বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমানের জন্য ১৩জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করেন। সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামী সবুজের উপস্থিতিতে এদন্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামী সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আব্দুর রহমান ও আসামী পক্ষে এ্যাড. বিমল কুমার দাস মামলাটি পরিচালনা করেন।
শাকিল/সাএ