আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “সব অপশক্তি আমাদের সামনে ভেঙেচুরে যাবে। আপনারা শুধু সাহস নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াবেন। আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ, ছাড়া হবে না। এই দুষ্কৃতিকারীদের আমরা ক্ষমা করব না।” সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে মির্জা ফখরুল কীভাবে দৌড়ে পালালো! দেখেছেন? মঞ্চ থেকে পালাইছে। তারপর অফিসের মধ্যে কী এক আরেফীরে রাখছে, ওই লোক নাকি বিএনপির অবতার আর ভগবান। ভগবান ডেকে সেদিন সরকারকে হটাতে চেয়েছিল। পেরেছে? আল্লাহ যার সঙ্গে আছে তাকে কেউ হটাতে পারে না। শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে শক্তিমান। তাকে কোনো অপশক্তি হটাতে পারবে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “খেলা হবে রূপসা নদীতে, সুন্দরবনে, খুলনায়, ফরিদপুরে, সারাদেশে। কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ হয়ে গেছে, এখন সেমিফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন?”
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও যুযগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। এছাড়া যুগপতের বাইরে জামায়াতে ইসলামীও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। সোমবার পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায়, ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় এবং ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় অবরোধের ডাক দেয় দলটি। এছাড়া গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করে তারা।
একদিকে বিএনপির কঠোর কর্মসূচি ও নেতাদের গ্রেপ্তার অন্যদিকে সরকারি দলের অনড় অবস্থানের মধ্যে সমঝোতার দৃশ্যমান কোনো চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনগণের স্বার্থে সমঝোতার দিকে এগোনো দরকার দুই দলকেই। এমন রাজনৈতিক সংকটে সরকারি দলেরই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি “সন্ত্রাসী দল”। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা সম্ভব নয়। আর বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথই সমাধানের একমাত্র পথ। দমনপীড়ন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের, ভোটাধিকারের দাবিকে নস্যাৎ করা যাবে না। এখন পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা না করতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আশরাফুল/সা.এ.