আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমানে রেখে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন ভবন (ইসি) ও এর আশেপাশে নিরাপত্ত বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের সামনে ও আশেপাশে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিনেরে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সামনে চারটি দলে পুলিশি নিরাপত্ত বাড়ানো হয়েছে। যা গতকাল বা তার আগে ছিল না। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশি জেরার অতিক্রম করতে হচ্ছে সবাইকে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথমার্ধেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা হবে এমন প্রশ্নের জবাবেই তিনি এ কথা বলেন। সচিব জানান, মাননীয় কমিশন বলেছেন নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।
এদিকে, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধের বাকি আছে আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত। ইসি সচিবের বক্তব্য অনুসারে বুধবার ( ১৫ নভেম্বর) অথবা বৃহস্পিতার (১৬ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণার একটা সম্ভাবনা আছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও ইসির নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে বলেই জানিয়েছে ইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র চুড়ান্ত করা হয়। এতে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশে বর্তমান মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। ইসির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার ৮৫২। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
