কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঘর থেকে মা ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ছোটন মিয়াসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যার আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিডি টোয়েন্টিফোর লাইভকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩৫), তাদের বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থী মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে বন্যা(৭)।
পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, জিঙ্গাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি। হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও প্রাথমিক আলামতে এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কিশোরগঞ্জের এসপি সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করে থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা ডাক্তারি পরীক্ষায় বলা যাবে।
শাকিল/সাএ