Bangal Press
ঢাকাTuesday , 14 November 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জবির কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানেন না অভিযোগকারীরাই

ডেস্ক রিপোর্ট
November 14, 2023 3:31 pm
Link Copied!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চিঠি জমা দিলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কথা উল্লেখ থাকলেও কি নিয়ে অভিযোগ বা কবে তৈরী করা হয়েছিল এ বিষয়ে জানে না কেউই।
এদিকে কারো নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ প্রেরণের বিষয়টিকে কামালউদ্দীন আহমদের মানক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা বলে দাবি করেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ কেন এসব অভিযোগ করা হয়েছে সেই প্রশ্নও তাদের। কোষাধ্যক্ষ পদের দৌড়ে এগিয়ে যেতে এমন কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়েরও দুর্নাম হয়েছে বলে দাবি অধিকাংশদের।
জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে গুঞ্জন উঠে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের কথিত দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমন একটি অভিযোগপত্রের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু অভিযোগপত্রের নিবেদনে সুস্পষ্ট কারো নাম ছিল না। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে অধিকাংশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভিযোগের বিষয়ে জানতে পারেন।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট একটি পক্ষের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন অনেকে। কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া হয়ে থাকা জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সুকৌশলে এমনটি করতে পারেন বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশদের। ইতিমধ্যেই ডজনখানেক বিবৃতি ও চিঠি দিয়ে নিজেদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন শিক্ষক।
এমনকি জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে নিজেদের মধ্য থেকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে তোপের মুখে পড়ে সংগঠনটি। তাই কোষাধ্যক্ষ পদের দৌড়ে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদকে বিতর্কিত করা ও তাকে পেছনে ফেলার জন্যই এই অপচেষ্টা বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিষয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কিন্তু ট্রেজারার স্যারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে কারা বা কবে অভিযোগ দিয়েছে এটা আমাদের জানাই ছিল না। এমনকি অভিযোগপত্রটিও দেখিনি। ঢালাওভাবে সবার নাম ব্যবহার করে এভাবে অভিযোগ দেওয়ার মানে হয় না। এতে দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, আমি গতকাল শুনেছি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে দিল বা কারা দিল জানি না। কারণ আমাদের সাথে এ বিষয়ে কেউ কখনো কিছু বলেনি। নামে বেনামে কত কিছুই করা হয়।
কর্মকর্তা সমিতির এক নেতা বলেন, কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হবে শিক্ষকদের মধ্যে থেকে। তাই শুধু শিক্ষকদের এ বিষয়ে আগ্রহ থাকতে পারে। কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে জড়িত হবার প্রশ্নই আসে না। কোষাধ্যক্ষ স্যার এমন কিছু করেননি যে তারা অভিযোগ তুলবেন। এই অভিযোগপত্রে কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ করে মূলত নোংরামির মধ্যেই কর্মকর্তাদের জড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ কে বা কারা দিয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অভিযোগ সত্য কিনা সেটাও তদন্ত করা যেতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বিগত দুই তিন বছর ধরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা সংস্কৃতি চালু হয়েছে, যখন যার মেয়াদ শেষের দিকে থাকবে তখনই তাকে নানা ধরনের অপবাদ দেওয়া শুরু হয়। আক্রমণও করা হয় নানাভাবে। অথচ আগে এ বিষয়ে তেমন কিছুই শোনা যায় না। এতে করে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়কেই ছোট করা হয়। এটি কোন সুষ্ঠু প্রবণতা নয়।
তিনি বলেন, যখন একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পান তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কতটুকু কি করেন সেটা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই অবগত থাকেন। কোন ব্যতয় ঘটলে বা অনিয়ম হলে সেটি সাথে সাথেই সামনে আসার কথা, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরাই খতিয়ে দেখতে পারেন বিষয়টি। কিন্তু কার্যকাল শেষ হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপবাদ দেওয়া হয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই অপমানজনক।



শাকিল/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।