যেদিকে দু’চোখ যায় সেদিকেই দেখছি সোনালী ধানের সমারোহ। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ধানের শীষ। ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করার অপেক্ষায়। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার উপযোগী হবে।
চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, এবার আমন ধান রোপন করা থেকে শুরু করে ব্যয়বহুল খরচ হয়েছে। আর কিছু দিন পর পাকাধান ঘরে উঠবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে কৃষকরা। পাকা ধান থেকে চাল তৈরি করে পিঠাপুলি পায়েস তৈরি করার জন্যও তারা প্রস্তুত। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা কাঙ্খিত ফলন পাবে।
এছাড়াও এই বছরে ধানের বাম্পার ফলন হবে এবং বেশি দামে ধান বিক্রি করবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ঝাঁঝালো রোদের মাঝে মাঠে মাঠে সবুজ আর সোনালী ধানের হাসি যেন কৃষকদের মনে আনন্দ বয়ে আনছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চরফ্যাসন উপজেলায় ৭১ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। লক্ষমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমি।
উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের কৃষক সামছুদ্দিন জনান, আমাদের মাঠে কিছু জমির ধান ফুলে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে, আবার কিছু জমির ধান কেবল ফুলছে। তবে আর মাত্র কদিন পরেই মাঠের অধিকাংশ ধান পাকতে শুরু করবে। কৃষক কা ন জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার ধানের ফলন ভালো হবে আশা করছি। সারা বছরের সব কষ্ট ভুলে যায় এই ধানের শীষ দেখে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত কৃষকদের ধান ভালো পর্যায়ে আছে। অফিস থেকে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা সঠিক সময় ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছি।
শাকিল/সাএ