জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২টি বগিতে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ঘণ্টা চারেক পর সরিষাবাড়ি-তারাকান্দি রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে পুড়ে যাওয়া দুটি বগি রেখে পুনরায় যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১টা ১০ মিনিটে সরিষাবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে তারাকান্দি স্টেশনে যাবার সময় চলন্ত ট্রেনটিতে আগুন দেয়া হয়।
এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা লাফিয়ে পড়লে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। আহতদের সরিষাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের দল প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ট্রেনটির পরিচালক মাসুম মিয়া বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস সরিষাবাড়িতে স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১টা ১০ মিনিটে। এখানে ৭ মিনিট বিরতির পর ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশনের উদ্দেশে ৫০০ গজ দূরে গেলে স্টেশনের লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করে। প্রথমে দেখি ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে দ্রুত ট্রেন থামিয়ে দেখি মুহূর্তে ট্রেনের একটি বগিতে থাকা আগুন অন্য বগিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুইটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’
সরিষাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, ‘রাত ১টা ২০ মিনিটে যমুনা ট্রেনে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনে দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো যাত্রী নিহত বা আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে জানানো হবে।’
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘জামালপুর থেকে আসা আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশে সরিষাবাড়ি স্টেশন ছেড়ে যাবার ৫০০ গজ দূরে হরতাল সমর্থনকারীরা ট্রেনটির পেছনের দুটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলজার হোসেন বলেন, ‘আমরা রাত ১টা ২০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনাটি নাশকতা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছি। তবে যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যাত্রীবেশে ট্রেনে অবস্থান করেছে। এর পেছনে হুকুমদাতা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
সালাউদ্দিন/সাএ