নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় সুমি আক্তার (২২) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী রুপন আহাম্মেদ পলাতক রয়েছেন। রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঘোড়াশাল মিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
নিহত সুমি আক্তার মিয়া পাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত রুপন আহাম্মেদ একই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে। স্ত্রী সুমিকে খাটের নিচে রেখে পালিয়েছে স্বামী রুপন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সুমি আক্তার গত দুই বছর ধরে প্রবাসে চাকরি করে আসছে। গত দেড় মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে আসলে তার স্বামী রুপনের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। শনিবার রাতের কোন এক সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সুমির মরদেহ খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। রোববার সকালে পরিবারের লোকজন সুমি আক্তারের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে খাটের নিচে মরদেহটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের খাটের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পলাশ থানার ওসি ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুপন আহাম্মেদ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আশরাফুল/সা.এ.