Bangal Press
ঢাকাMonday , 20 November 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘোড়াঘাটের চরাঞ্চলে সম্ভাবনাময় সবজি চাষ

ডেস্ক রিপোর্ট
November 20, 2023 9:30 am
Link Copied!

সোহানুজ্জামান সোহান, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলে পলি পড়ায় আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। নদীতে চর জেগে ওঠা এসব জমিতে এখন সারা বছর ধরে উৎপাদন করা হচ্ছে নানা প্রকার সবজি সহ অন্যান্য ফসল। যা স্থানীয় চাহিদা পূরনের পাশা-পাশি রপ্তানী করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
কৃষকরা জানান, এক সময় চরাঞ্চলের জমিতে শুধু ধান,গম,পাট আর আখ চাষ করা হতো। কিন্তু এখন সেই জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে হরেক রকম সবজি চাষ। বিশেষ করে প্রতি শীত মৌসুমে নদী বিধৌত চরাঞ্চলর জুড়ে লক্ষ্য করা যায় নানা রকম সবজি। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও। এ অঞ্চলের কৃষকরা বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে নানা প্রকার সবজি চাষাবাদ করে স্থানীয় চাহিদা পুরনের পাশা-পাশি রপ্তানি করছে ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সরেজিমন দেখা গেছে, উপজেলার নদী তীরবর্তী বুলাকিপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর, চকজয়রামপুর, সোনারপাড়া এসব চরে এবার চাষ হচ্ছে আলু ,বেগুন, টমেটো, কফি, লাও, মিষ্টি কুমড়া, সিম, করলা, পুঁই শাক, সরিষা ও লালশাক-সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। এরমধ্যে পেঁয়াজ ও রসুন চাষে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইতোমধ্যে নতুন পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। এবার আশানুরুপ ফল পাচ্ছে কৃষকরা।
কৃষ্ণরামপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি এ বছর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে শীত কালিন সবজি হিসাবে মূলা, ভুট্টা এবং বেগুন চাষ করছেন। এ গুলো আবাদের পূর্বে জমিতে লাঙলের পরিবর্তে বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এর ফলে চাষাবাদের খরচ কমেছে। এ ছাড়া সেচের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে শ্যালো মেশিন। একটি মেশিনে ৩০ থেকে ৩৫ বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া যায়।
তিনি জানান, শ্যালোমেশিনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিজেল। কিন্তু ডিজেলের দাম এবার বেশি হওয়ায় সেচ খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে। তবে চাষের খরচ এবং শ্রমিক কম লাগার কারণে চরের জমিতে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। এর ফলে চাষিরা ফসল চাষ করে লাভবান হন।
অপর একজন কৃষক লাল মিয়া বলেন, তিনি এ বছর  ৩৯ শতক জমিতে পেঁয়াজ, ২৭ শতক জমিতে রসুন, ১৯ শতক জমিতে লাউ, ৩০ শতক জমিতে মুলা চাষা করেছেন। এদিক থেকে সবচেয়ে পেঁয়াজ এবং রসুনে ভাল ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন শুধু আমি নয়, আমার মতো চরাঞ্চলের সকল কৃষকই বর্তমানে নানা অর্থকারি ফসলের পাশা-পাশি সবজি চাষ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান বলেন, চরের জমি খুবই উর্বর। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যে কোন ফসল বেশি পরিমান চাষাবাদ হচ্ছে। এ কারণে কৃষকদের মাঝে ফসল ফলানোর আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তাঁর মতে, গত কয়েক বছর ধরে সবুজের নীরব বিপ্লব ঘটেছে উপজেলার চরাঞ্চলে। উপজেলার সমতল এলাকার ৪ ইউনিয়ন এবং ১ পৌরসভা মিলে যে পরিমান সবজি চাষ হয়, তার চেয়ে বেশি সবজি চাষ হয় চরাঞ্চলে। তিনি মাঝে মধ্যে এ সকল ফসল পরিদর্শনে যান এবং কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন।



শাকিল/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।