হরতাল সমর্থনে বগুড়ায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে শহরের কানুছগাড়ী বিক্ষোভ করেছে জামায়েত। এসময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা ঘটনাস্থল থেকে সড়ে যায়।
এর আগে, জামায়েতের পক্ষ থেকে সকাল সোয়া সাতটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের নামাজগড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে নূরানী মোড় পর্যন্ত যেয়ে শেষ হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘জামায়েতের নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক ব্লক করার চেষ্টা করেছিল। ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করতে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।‘
অন্যদিকে, বগুড়ার নন্দীগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ ও ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৮০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ট্রাক চালক ফয়সাল আলম বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় এমামলা দায়ের করে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজমগীর হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজুল হক রুবেল (৪৫), প্রচার সম্পাদক মজনু মিয়া (৫৫), বিএনপি কর্মী হাবিবুল্লাহ (৩৬), জাকির হোসেন (৩১), একরামুল হক (৩০), শিবির কর্মী আব্দুল আউয়াল (২৪) রুবেল হোসেন (২৭) ও সেলিম হোসেন (৩৭)।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন গত রোববার সন্ধ্যার পর দূর্বৃত্তরা মোটর সাইকেলে এসে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুর এলাকায় চলন্ত ট্রাকে আগুন, রণবাঘা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় খড় বোঝাই ভটভটিতে আগুন ও পৌর শহরের কলেজগেট এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এই তিনটি ঘটনায় ট্রাক চালক ফয়সাল আলম বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৮০ জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেছেন। পুলিশ এই মামলায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজমগীর হোসাইন বলেন, গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সালাউদ্দিন/সাএ