বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোনো রদবদল করবে না বলে জানিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এটিই হবে প্রতিদ্বন্ধিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো-নির্বাচনী আত্মহত্যা।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘খুলনা ফুলতলা বিএনপির সভাপতিকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। এখনো তার হদিস দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন যুবনেতা ও ছাত্রনেতাকে গুম করে রাখার পর আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের আটক করে কয়েকদিন গুম করে রাখা হচ্ছে। এই গুমের সময় তাদের ওপর চলে পাশবিক নিপীড়ন-নির্যাতন। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পাঁচবারের সাবেক এমপি মো. শাহজাহান ও সাবেক এমপি লিংকনকে এখনো কারাগারে ডিভিশন দেওয়া হয় নি। তাদেরকে অমানবিক পরিবেশে মেঝেতে থাকতে দেওয়া হয়েছে।’
রিজভী দাবি করেন, ‘গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৪৮০ জনের অধীক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা হয়েছে ১৭টি, আসামি করা হয়েছে ১৯৯০ জনের অধীক নেতাকর্মী (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত) এবং আহত হয়েছেন ৮০ জনের অধীক নেতাকর্মী।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জনগণের সুবিচার লাভের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করছেন। নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। অন্যদিকে সুপরিচিত নিবন্ধিত দলের নিবন্ধন বাতিল করছে।’
আশরাফুল/সা.এ.