রাজবাড়ীর পাংশায় প্রতিবন্ধি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এতিম প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ‘রাধে পরাণ’ এর সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ওই সভাপতি ও স্কুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও নিরব রয়েছে প্রশাসন।
অভিযুক্ত ওই সভাপতির নাম আল মামুন সিদ্দিকী। সে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ৩০ জুলাই পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার মোঃ সাইদুল ইসলামের সাক্ষরিত একটি পত্র প্রেরণ করেন।
ওই পত্র থেকে জানা যায়, এতিম প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ‘রাধে পরান’ এর সভাপতি আল মামুন সিদ্দিকী প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ প্রদানের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ, সরকারি বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নানাবিধ সুবিধা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিকট হতে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ এবং প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকারি-বেসরকারি অনুদান সংগ্রহ করে উন্নয়নমূলক কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল অরফ্যান্স ভিসএ্যাবল স্কুল এন্ড কলেজ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা এবং শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।
ওই পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, আল মামুন সিন্ধিকী সরকারি বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নানাবিধ সুবিধা বিশেষত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ হাতিয়ে নিয়েছে। যা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে। সে প্রেক্ষিতে উপপরিচালক রাজবাড়ী জেলা সমাজসেবা কার্যালয় প্রতিবন্ধী স্কুলের সরকারি অনুমোদন না থাকায় ও আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন,প্রতিবন্ধি স্কুলের নামে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ এসেছে আমাদের কাছে। অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ