Bangal Press
ঢাকাWednesday , 31 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত সাপাহার আম বাজার

Link Copied!

নওগাঁর সাপাহার বাজারে উঠতে শুরু করেছে জাতের ধরনের আম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠতে শুরু করেছে এ বাজার।

দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ আম বাজার সাপাহার। কয়েকদিন আগেও যেখানে ছিল সুনসান নীরবতা। গুটি (আটি) আম পাড়া শুরু হলেও বাজার তেমন সরব ছিল না। তবে গোপালভোগ আম বাজারে আসার পর থেকে সরব হয়ে উঠেছে বাজার। ভোর থেকে শুরু হয় আম পাড়া। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান, ভটভটি ও অটোরিকশাযোগে আম চলে আসছে বাজারে। সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সাপাহার-নজিপুর সড়কের প্রায় ৫০০ ফুট জায়গা জুড়ে প্রখর রোদে আম চাষিরা বিক্রি করে অপেক্ষা করেন। এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে ২৫০টির মতো আড়ৎ।

আরও পড়ুন: ক্রেতাশূন্য আম বাজার

উপজেলার আমইড় গ্রামের আমচাষি গোলাম রাব্বানী বলেন, ১৭ ক্যারেট (৯ মণ) গোপালভোগ আম বাজানে নিয়ে আসলে ব্যবসায়ীরা ১ হাজার ৫৪০ টাকা মণ দাম বলেন। তবে বাজারে ১৪০০ থেকে শুরু করে মণে বিভিন্ন দামে আম বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা দীঘিরহাট গ্রামের আমচাষি ফয়জুল কবির বলেন, গোপালভোগ, ফজলি, ল্যাংড়া ও হিমসাগর জাতের আমের পাঁচ বিঘা বাগান নিয়েছি। গোপালভোগ জাতের আম প্রথম বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিমণ আম ১১০০-১২০০ টাকা মন বলছে। এ বছর অনাবৃষ্টি হওয়ায় আমের পরিচর্চা করতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। দাম হলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।

একই গ্রামের আলম হোসেন বলেন, আমের দরদার করে আড়তে নিয়ে যাওয়ার পর ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে দিতে হচ্ছে। ওই সময় তো আর আড়ৎ থেকে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব না। আবার একই বাগানের আম সকালে এক দাম, বিকেলে আরেক দাম। বিকেলে মণে ৩০০-৪০০ টাকা কম দামে বিক্রি হয়। এটা ব্যবসায়ীদের একটা কারসাজি। আমের দাম ও মণের হিসেব দেখা উচিত।

সাপাহার আড়ৎদার সমিতির সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, বাজারে গুটি, রানিভোগ, গোপাল ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে। এ জাতের আম ১২০০-১৫০০ টাকা, গুটি ৮০০-৯০০ টাকা, হিমসাগর ১৫০০-১৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আমের মণ হিসেবে ৪৮-৫০ কেজিতে মণ বিক্রি হয়। এরমধ্যে ক্যারেটের ওজন থাকে। ওজনে বেশি থাকলেও পরে রস কমে ও অনেকটা নষ্ট আম বাদ গেলে ওজন স্বাভাবিকে চলে আসে। প্রতিদিন কয়েকটি আড়তে প্রায় ৯০০-১০০০ হাজার মণ আম বেচাকেনা হচ্ছে। আর কিছুদিন পর বাজারে আমের সরবরাহ বাড়লে সবগুলো আড়ৎ চালু হবে। কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে আড়ৎগুলো। বর্তমানে বাজারে লিচু ও তাল থাকায় আমের দাম কিছুটা কম। আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে লিচুর বাজার শেষ হলেই আমের দাম বাড়বে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩০ মে) সাপাহার উপজেলা সদের গোডাউন পাড়ায় একটি আম বাগানে গোপালভোগ আম পাড়ার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, খরায় আমের সাইজ কিছুটা ছোট হয়েছে। কৃষকরা যেন আমের ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সবাই সস্তা খেতে চাই। কিন্তু কৃষকের দুঃখ কেউ বুঝে না। ধানে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। আশা করছি আমেও চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাবে। কৃষকরা দেশের প্রাণ। তাদের বাঁচাতে হবে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বেঁধে দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী গত ২২ মে গুঁটি (স্থানীয়) আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম নামানো শুরু করে আমচাষিরা।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে তালিকা অনুযায়ী গুটি (স্থানীয়) আম ২২ মে থেকে পাড়া শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে গোপালভোগ ২৮ মে, খিরশাপাত/হিমসাগর ২ জুন, নাক ফজলি ৭ জুন, ল্যাংড়া/হাঁড়িভাঙা ১০ জনু, ফজলি ২০ জুন, আম্রপালি ২২ জুন এবং আশ্বিনা/বারি-৪/গৌড়মতি/কাটিমন ১০ জুলাই। সময়সূচি অনুযায়ী চাষিরা বাগান থেকে আম পাড়বেন।

জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে তিন লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। এ বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।

আব্বাস আলী/আরএইচ/এএসএম

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।