শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের ওড়িশায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আট শতাধিক যাত্রী। আহত-নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
এদিকে ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সরঙ্গী জানিয়েছেন, অন্তত ১২০টির বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী এখনো আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। সারারাত ধরে ট্রেনের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে এসেছি, খুবই বিপদে পড়ে গেলাম
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
রাতে হাওড়া এবং শালিমার স্টেশনে ভিড় করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন নম্বর চালু
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টায় হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওড়িশার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
এমএইচআর