Bangal Press
ঢাকাMonday , 5 June 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গেন্ডারিয়ার পুকুর ভরাট-নির্মাণ কাজে স্থিতাবস্থা

Link Copied!

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর ভরাট-দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে।

একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে পুকুর দখল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এসএ ও সিএস অনুসারে পুকুর রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় শতবর্ষী পুকুর দখল, বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শ্যামপুরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান শহীদসহ ১১ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফরেন রিজার্ভ সরানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

পরে মনজিল মোরসেদ ক্যাম্পাসনিউজকে বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে পুকুর ভরাট-দখল, স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে স্থিতাবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজউক, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন এটা কার্যকর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে।

এর আগে রোববার গেন্ডারিয়ার শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ -এইচআরপিবি’র পক্ষে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিট করেন।

আরও পড়ুন: খেলার মাঠ ব্যতীত খোলা স্থানে পশুর হাট বসানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

রিটে বলা হয়, বিবাদীরা বিদ্যমান আইন অনুসারে বন্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিলে রাজধানীর শ্যামপুর-গেন্ডারিয়া এলাকার পুকুর দখল, ভরাটের মতো ঘটনা ঘটতো না। এছাড়া নদী, জলাধার, পুকুর ভরাট-দখল বন্ধ করতে বিবাদীরা আইনত বাধ্য। গেন্ডারিয়া এলাকার পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা, পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ এর ২(চ) অনুসারে প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত।

বিদ্যমান এ আইনের ৮ ধারা অনুসারে প্রাকৃতিক জলাধার, ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। কেউ তা করলে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে ডিআইটি পুকুরের জায়গায় মাটি ভরাট, দখল, স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। তারপরও পুকুর ভরাট-দখল ঠেকাতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনবে। এছাড়া আইনের প্রয়োগ না হলে আইনের অপব্যবহার ঘটে। আর এতে নাগরিককে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।