পেঁয়াজের বাড়তি দামে কয়েকদিন ধরে গরম ছিল যশোরের বাজার। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিতে কমতে শুরু করেছে দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে। একদিন আগেও খুচরা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বিক্রি হলেও সোমবার (৫ জুন) তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে এখনো পেঁয়াজ কম কিনছেন ক্রেতারা। আরও দাম কমার অপেক্ষায় তারা।
যশোর বড় বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা দেবাশীষ রায় বলেন, আজ পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে পেঁয়াজ কিনছে না ক্রেতারা। এলসির পেঁয়াজ বাজারে আসার আগেই কম টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ ওই পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
আরেক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ ৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে। এর আগে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।
বড় বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা জয় অধিকারী বলেন, গতকাল পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১০০ টাকা কেজি। আজ সেই পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। এজন্যই দাম কমছে।
বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মজিদ মনা বলেন, পাইকারি পেঁয়াজ কিনেছি ৮০ টাকা দরে। বিক্রি করছি ৮৫-৯০ টাকা কেজি করে। আর আগেরদিন পাইকারি কিনতে হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি করছিলাম ১০০ টাকা করে। তবে যা শুনছি দাম আরও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে অনুমতি মিললো ১৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির
খুচরা বিক্রেতা ত্রিনাথ সাহা বলেন, আজ ৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। রোববার বিক্রি করেছি ১০০ টাকা করে। শুনতে পাচ্ছি এলসির পিঁয়াজ আসবে। আর এ কারণে দাম কমেছে। এরপরও পেঁয়াজের বেচাকেনা নেই।
খুচরা ক্রেতা গৃহিণী পারভিনা আক্তার বলে, আধা কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন আগে ৬০-৬৫ টাকা কেজি ছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে। শুনছি পেঁয়াজ আমদানি হবে। পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে এজন্যই কম কিনেছি।
মিলন রহমান/এসজে/জেআইএম