সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবন থেকে লোহার পাইপ পড়ে সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল মো. দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিনের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভুঁইয়া। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, আসামি আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট তাতে সায় দেননি। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর করা জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিসিকের নির্মাণাধীন ভবন থেকে পাইপ পড়ে সেনাসদস্য নিহত
গত শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে নির্মাণাধীন ১২ তলা থেকে লোহার পাইপ পড়ে সেনাসদস্য দেলোয়াল হোসেন মারা যান।
এ ঘটনায় ওই রাতেই সিলেট সেনানিবাসের ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্টের সেনাসদস্য মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পাঁচজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী কমিটির আহ্বায়ক নূর আজিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, জামাল অ্যান্ড কো-এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. জামাল উদ্দিন, ক্রেনচালক মো. সাদেক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক ও অজ্ঞাত আরও একজকে আসামি করা হয়।
নিহত সেনাসদস্য দেলোয়াল হোসেন সিলেট সেনানিবাসের ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ৫০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি কোরে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন জুগিরগোফার রায়পুর গ্রামে। তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর/এএসএম