আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলার তিন উপজেলায় কোরবানির জন্য ৫৪ হাজার ৮৯০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। জেলায় কোরবানির চাহিদার তুলনায় ২৩ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত এ পশু জেলার বাইরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের তিন উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৫৪ হাজার ৮৯০টি পশু। এর মধ্যে গরু ১৯ হাজার ৬৯৮টি, ছাগল ৩৫ হাজার ১০৩টি, ভেড়া ৮৯টি। বাড়তি লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশু পালন করছেন কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে এখানকার প্রায় ২৩ হাজার উদ্বৃত্ত পশু।
জেলায় ৪ হাজার ৫৯৯টি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন করছেন। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। এবছর জেলায় ২৫২ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। খড়ের পাশাপাশি খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টার গুড়া, ধানের কুঁড়া, মুগের ভুসি, খড় ও বুটের খোসা খাওয়ান অনেকে। জেলার ছোট-বড় পশুর খামারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসছে কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।
সদর উপজেলার চারিখাদা গ্রামের ওয়ালিউর রহমান ক্যাম্পাসনিউজকে বলেন, তার খামারে দেশি-বিদেশি মিলে ১০টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হচ্ছে। তার খামারে এক লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের পশু আছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. আবু তালেব ক্যাম্পাসনিউজকে বলেন, কোরবানি সামনে রেখে প্রতি উপজেলার খামার পরিদর্শন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছি আমরা। প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানে অনলাইনেও পশু বিক্রি করা হবে। জেলার তিন উপজেলায় ছয়টি স্থায়ী পশুর হাটে পশু বিক্রি হবে। এছাড়া কোরবানির পশু বিক্রির জন্য দুই-তিনটি অস্থায়ী হাট বসতে পারে।
হাফিজুল নিলু/এমআরআর/এএসএম