পছন্দের প্রার্থীকে মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সম্প্রতি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলাধীন উত্তরচক কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম অংশ নেন। এ নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মাদরাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিশেষ একজন আবেদনকারীকে বেশি নম্বর দেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য তাকে চাপ দেন এবং পরবর্তী সময়ে লাঞ্ছিত করেন।
নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যের কারণে মাদরাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মারধর করে মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা তাকে জিম্মি করে রাখা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী খুলনার জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন বলেও এতে জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেজন্য তার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তের পর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় কেন আপনাকে আপনার পদ থেকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে খুলনার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস