বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ) প্রধান শিক্ষক বা সমমান পদে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর আর শিক্ষক-কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকতে পারবে না। ঐতিহ্যবাহী কোনো প্রতিষ্ঠানে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে চুক্তিভত্তিক প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ অনুমোদন না নেওয়া হলে সেই শিক্ষকের অবসরকালীন কল্যাণ ও অবসর ভাতা সুবিধা বাতিল করা হবে।
সোমবার (১২ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১১ ধারায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বুঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত প্রদেয় হবে। তবে ঐতহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোন আর্থিক সুবিধা/এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সক দায়ভার বহন করতে হবে। সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছরের বেশি হতে পারবে না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।
বলা হয়েছে, বর্তমানে কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধানের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও বিধি মোতাবেক জ্যৈষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে বহাল থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডি/ব্যবস্থাপনা/ম্যানেজিং কমিটিও বিধি বহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত থাকছেন। যা সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন না করার সামিল এবং জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৮:১(খ) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়িত্বে বসানো যাবে না । বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বাতিল এবং জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৮.১(খ) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ব্যবস্থাপনা/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে।
এমএইচএম/এমআইএইচএস/এএসএম