Bangal Press
ঢাকাMonday , 28 August 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. বিনোদন
  11. ভ্রমণ
  12. মতামত
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা জগৎ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগের কমিশন চেয়েছিল পেনশন আমরা একমত হইনি: ইসি আলমগীর 

Link Copied!

নির্বাচন কমিশনারদের পেনশন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর বলেছেন,আগের কমিশন চেয়েছিল পেনশন আমরা একমত হইনি। নতুন কিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছিল আগের কমিশন। সেটা আমরা বলেছি যুক্তিযুক্ত নয়। সোমবার(২৮ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 
তিনি বলেন,নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ সুবিধার কোনো পরিবর্তন আসছে কি-না, ১৯৮৩ সালে যে অধ্যাদেশ আছে, তা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সমান অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা সুযোগ সুবিধা পান। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান পাবেন। 
তিনি আরও বলেন,গত কমিশন খসড়া আইন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন, তারা আবার সেটা ফেরত পাঠিয়েছে যে বর্তমান কমিশনের মতামত কী। তখন আমরা দেখলাম যে খসড়া আইনে পেনশনের বিষয়টা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। আমরা যেটা বলেছি যে, আমরা ওইটার সঙ্গে একমত নই। ১৯৮৩ সনের অধ্যাদেশ যেটা ছিল, সামরিক আইনে, যেগুলো বাতিল করা হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী সম্মানী ও ভাতা বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে সংযোজন বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তা-ই থাকবে।
‘আগের কমিশন চেয়েছিল পেনশন আমরা একমত হইনি। নতুন কিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছিল আগের কমিশন। সেটা আমরা বলেছি যুক্তিযুক্ত নয়’।
ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনে বলা আছে নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রণয়ন করবে। যখন তফসিল ঘোষণা হবে তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তালিকা দেবে। নির্বাচন এখন কাকে দিয়ে তালিকা করাবে সেটা কমিশনের ব্যাপার। এতোদিন ট্রেডিশনালি যেটা হয়ে আসছিল ভোটকেন্দ্রের তালিকা, অতীতের তালিকা ফলো করে কিছু যোগ বিয়োগ করা হতো। এটা একটা নীতিমালা আছে যে কোথায় ভোটকেন্দ্র করা যাবে, কোথায় করা যাবে না। সেটা নীতিমালা অনুযায়ী এটা এক সময় জেলা প্রশাসক করতো, আমরা যখন চাকরি করতাম। এরপর যখন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়া হলো তখন উনার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক করতেন।
এরপর উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তা থাকায় তাদের দিয়ে করা হতো। এখন আমরা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলি, তখন তারা কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বলেছিলেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক দূরে যেতে সমস্যা হয় না। কিন্তু কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র করলে অনেক কেন্দ্র হয়। সে অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ভোটকেন্দ্র কমিয়ে যদি বুথের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তাহলে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো যাবে। দুই নম্বর বিষয় হলো আমাদের কর্মকর্তা থাকলে ভালো হবে এটা আমরা মনে করি না। ভালো হতে পারে, মন্দও হতে পারে। আমরা বিবেচনা করে দেখলাম স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) আরো আছে, তাদের সাথে নিয়ে কাজটা করলে আরো ভালো হবে। তখন আমরা শিক্ষা বিভাগকে নিলাম, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের। কাজেই সবাইকে নিয়ে কমিটি করলে একক কোনো ব্যক্তির প্রভাব থাকবে না।
আমরা ভোটকেন্দ্র করার সময় অভিযোগ পাই। একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তাব করে। তারা চাপে মুখে থাকে। বাস্তবতা হলো এই চাপ অতিক্রম করা কঠিন হয়। চাপ সহ্য করতে গেলে অনেক সময় তারা বিব্রতকর অবস্থায়। এজন্য চাপ যাতে না হয়, চাপ যাতে না দিতে পারে এবং ন্যায় সঙ্গত ভোটকেন্দ্র যাতে হয় সেজন্য আমরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশ, শিক্ষা ও আমাদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। এতে একক কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। এছাড়া এতোগুলো কর্মকর্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না। আবার তারা তালিকা করার পর অভিযোগ আসলে তা শুনানির পর চুড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, এই ভোটকেন্দ্রের একটা ডাটাবেজ করা হবে। কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও এগুলো ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ও আবার চুড়ান্ত করা হবে। কারণ অনেক কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে। প্রাকৃতিক কিংবা অন্য কারণে কেন্দ্র করার অনুপযোগী হতে পারে।
তিনি বলেন,প্রথম শর্ত বিদ্যামানটা বহাল রাখতে হবে। তবে নতুন ভবন হলে, বা পাশে নতুন একটি কলেজ হলে কিংবা প্রাকৃতিক কারণে অনুপযোগী হলে নতুন করে কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। কাজেই ডাটাবেজ থেকে কোনটা ব্যবহার করবো, কোনটা করবো না, তা নির্বাচন আসলে চুড়ান্ত করা হবে।



বাঁধন/সিইচা/সাএ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।