আহমেদ সানি, জবি থেকে: শিক্ষার্থীদের চলাফেরার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হয় জবির মূল ফটকের সামনের ব্যস্ততম সড়কটি। প্রধান ফটকের সামনেই সদরঘাট, লক্ষীবাজার ও রায়সাহেব বাজার গামী ত্রিমুখী সড়ক। ব্যস্ততম সড়কগুলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে মিলিত হয়েছে। এসব সড়কে ভারি যানবাহনের পাশাপাশি ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে, যার প্রায় সবই বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। অথচ শিক্ষার্থীদের নিরাপদে চলাফেরার জন্য এখানে নেই কোনো ফুটওভার ব্রিজ, এমন কী সড়কেও নেই কোনো স্পিডব্রেকার।
এ কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, ঘটছে নানা রকম বিপদ। ফটকের অপর পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি। ফলে সড়কটিতে প্রতিনিয়ত এ পাশ থেকে ঔ পাশে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি গুলো আসার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রধান ফটকের সামনে নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করে রাস্তার এ পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ততম এ রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তার পাশ ঘেষেই পার্কিং করা হয় বাস। যার ফলে এ জায়গাটি হয়ে উঠেছে মরণ ফাঁদ। রাস্তা পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যেতে প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
একদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক। ফটকের সামনের পুরো জায়গাটাই অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে সারি সারি বাস। সেজন্য খোলা হয়না সেই ফটকটিও। এতে ভোগান্তি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। বাসগুলার মধ্যে অন্যতম সাভার পরিবহন, বিহঙ্গ, তানজিল, ভিক্টর ক্লাসিক, আজমেরী গ্লোরী।
অন্যদিকে সদরঘাট হয়ে জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা যাওয়ার জন্য লেগুনা পরিবহনগুলোও ক্যাম্পাসের সামনের ফটক দিয়ে যাতায়াত করে। লেগুনা ও ঘোড়ার গাড়িগুলো রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সড়কটিতে সব সময় থাকে ব্যস্ততা।
রাস্তা পার হতে যেয়ে ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা বলেন, রাস্তা পারাপারে ভোগান্তি এড়াতে দীর্ঘদিন এই ফটকের উপর ফুটওভার ব্রিজ নির্মান করার আশ্বাস দেওয়া হলে ও এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এই রাস্তায় আসলে যেন রিকশার গতি আরও বেড়ে যায়। শরীরের উপর রিকশা উঠিয়ে দেয়ার উপক্রম হয়। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলার জন্য কিছু করা উচিত। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, বৃষ্টির দিনে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। বৃষ্টি হলে বৃদ্ধি পায় জানযট।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে রাস্তা পার হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করতে চিঠি পাঠানোও হয়েছিল সিটি কর্পোরেশনকে। কিন্ত বাস্তবে এখনও তার কোন কার্যকারিতা দেখা যায় নি।
সালাউদ্দিন/সাএ